Wednesday, July 04, 2007

এখন এগুলো ভাবার সময় নয়


রাস্তা। ভিজে ভিজে। চারপাশ ইডেন গার্ডেনের মত দূর আলোকস্তম্ভে আলো, গোপাল ভাঁড়ের রান্নার গল্প এসেই মিলিয়ে গেল, এখন এগুলো ভাবার সময় নয়। গাড়িতে গাড়িতে হাওয়া বাড়ে,হাত দেখালেও কেউ থামেনা। কেউ গতিও কমায় না, এতরাতে সব ট্যাক্সিতেই লোক? ভুল দেখি বলে মনেও হয় একবার। না, এখন ওসব ভাবার সময় নয়।




যে রাস্তা হেঁটে ১০ মিনিটে আসা যায়, সেটায় ৩০ মিনিট লাগলো, কেননা বারবার পেছন ঘুরে দেখছি গাড়ির হেডলাইট। ফোন বাজছে। হাত দেখালে গাড়ি থামছে না। রাত দেড়টা। ফোন বাজে, কেটে দিই, ধরি, কোন লাভ নেই। ঘড়ির শব্দ টের পাই। সার সার লরি স্যাট স্যাট বেরিয়ে যায়,ডিপসের নরকের টাইমের গল্পটা মাথায় আসে। ধুস।




সামপ্লেস এলসে বেয়ারা এসে বলে গেছে আর মদ দেওয়া হবে না। দেখলাম একে একে বাজনদাররা তার গীটার হাতে বেরিয়ে গেল। একা পড়ে আছে ড্রামসেট। এরপর উপরে উঠে অট্রিয়াম বন্ধ, কারণ আমাদের মোশন কনট্রোলের কথা শেষ হয়নি আর টিটো বলছে প্রসাদে ফাইভ পয়েন্ট ওয়ান বসে গেছে আমরা চাইলেই এখন একবার গিয়ে দেখে আসতে পারি।




তার বাড়িতে বোতল আছে জানার পরও আমি নেমে যেতে চাই রবীন্দ্রসদনে। যাওয়ার যায়গা তবে এখন এইচ এইচ আই বা তাজ বেঙ্গল। আজ থাক না, মোশন কন্ট্রোল করি, কাল না হয় দেখা হবে রীণাদির এডিটে।




দেখি সেই বিশাল সাইজের গাড়িটা একা একা চলে গেল।কেবল রাস্তা পরে আছে। তাকেই বেশ বন্ধু বন্ধু লাগছে , হিসাব করি আর ঘন্টা তিনেক কাটাতে পারলে সাকালে কিছু একটা পেয়ে যাব। তিনটে সিগারেট আছে, ঘন্টায় একটা। রেশন করতে হবে, নিজেকে বুদ্ধ-বুদ্ধ লাগে উইথআউট সুজাতা।বেশ অন্ধকার।বাতি কি নিভে গেল? না আগে থেকেই জ্বলছিল না। বাঁ হাত নাড়াতে নাড়াতে ঝিম ধরে গেল। হাত পাল্টাই, গোঁ গোঁ শব্দে সব দুষ্ট লরিরা মাছের মত ছিটকে বেরিয়ে যায়। বাঁ হাতটা আদৌ কাজ করছে কি না দেখার জন্য একটা সিগারেট ধরাতেই হল। না: ঠিক আছে।