Saturday, June 17, 2006

1 লা ডিসেম্বর থেকে শুরু

...এই একাকী বুলাদির বিশ্বে, একটা ছবি আঁকার ছিল, পতপতে ক্যালেন্ডারের পাতায় ছেপে আনবেন লাহিড়ীদা, যিনি জনৈক অভিনেত্রীর লেটার হেড ছাপার আগে জিজ্ঞাসা করেন, পাওয়া যাবে?

পোষ্টার, ক্যালেন্ডার তোলা থাক, কিছু ছবি, সরা পটে, মানীদার এলোমেলো সই, আসলে এই ভাবে শুরু হয়ে গেল নন্দন মেলা, আহা উহু শীত পড়ে গেল রে...

আহা উহু শীত নয়, ছবি কেনার লম্বা লাইন, আমি কিনি, এক সংখ্যা "নন্দন", বস্তুত অংশুমানদার সাথেই জমত গল্প, এবং বিশেষত ফেলিনি অথবা মানেকা ভিত্তি,সয়দা মুখচোরা৷৷ এই ভাবে কিছু সকাল হয়ে ওঠো বর্ণময় ও বিশ্বভারতী ফাষ্ট প্যাসোর ও নবদ্বীপ সুইটস৷

... চারিদিক ছেয়ে আছে আলোয়, আলোয়, ও আমার ক্রাফট বিল্ডিং এ মাণীদা যখন এঁকে ফেলেছেন আধুনিকতার সহজপাঠ,এমন ভাবেই দুয়ো দেবেন বরোদা গোষ্ঠী, তোবা তোবা, সিয়াজিরাও কোথায় তোমার চীনাবট ? নন্দন মেলায় সেই চীনা বটে ঝুলছে সহস্র নৌকা, রং বেরং, কোনোবছর দেখেছি, এই গাছ মির্চ মশালা হয়ে যেতে, ও গো কোথায় তোমার ম্যাজিক আর কোথায় তোমার চরন, তার টের কি পাও?

...আসুন আমরা প্রবেশ করি জগঝম্প অপেরায়, ভুপেন খক্কর মরেও রেহাই পাবেন না,গোলাম শেখ তামাদি হয়ে যান,এই যে দড়ির জটাজুট এর জন্য আসুন মৃণালিনী মুখোপাধ্যায় আসুন তার নাম এক লাইনে সেরে ফেলি, সারা কলাভবন চত্বর জুড়ে গজিয়ে উঠুক বিভিন্ন সভ্যতা, হেঁটে বেড়াক কচ্ছপ, মায়ামৃগ, উড়ন্ত ফড়ি, ংসব ঐ দড়ি জটাজুট সারে৷৷৷ এই যে দেওয়াল ফুটো করে ঢুকে যাচ্ছে হ্যামলিনের ইদুরগুলো তার খোঁজ জীবনানন্দ খোঁজেননি ভাস্কর্য ভবনের দেওয়ালে, ছুটকো ছটকা কার্ড পাঁচ
দশ পনের বেরিয়ে এলো পিনাকী বড়ুয়ার সাথে...

...কাল সকালে এই চীনা বটের তলে গনেশ পাইন, লালুপ্রসাদ সাউ, সনত্ করদের আলোচনা ফাঁকে আমি ও ঢুকে পড়ি রবিকুমারে সাথে, না রে, এ তোদের রবি নয়৷৷৷ দীপকদা থাকলে কোম্পানি পেন্টিং, লালুদার কালিঘাটের পট, আসলে নন্দনমেলা প্রতি বছরই হয়...


1) ক্যান্টিনের পাশে ওরকম ইনার আই
2) পোট্রেট, পোট্রেট, সোডিয়াম ভেপারহীন রূপশয্যা,ইচ্ছা করলে বেঁধে নাও চুল
3) কোমর পর্যন্ত বিনুনী, দুলে দুলে যাও, সময় কোথায় দোলে
4) এলোমেলো লিফলেট, আসলে একটা লেখা চাই, যোগেনদা
5) হিন্দি গানের সাথে বিড়লা হষ্টেলের মাথায় নেচে ওঠে অবোধ কিশোরীরা
6) শুচিব্রত দেব আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করতেই থাকেন,স্থান ও রামকিঙ্কর
7) দাদার বোলপুর পোষ্ট অফিস বাড়ি থাক রতনপল্লীতে এসো, তখন নিশ্চয়ই গাছেতে বাদুড়ঝোলা বোতলগুলি নয়,আবেগে
8) একটা সাইকেল পাওয়া গেলে বেশ হত, আঁকিবুকি চলে যাও শীতের চাদর মোড়া ঘন মাঠ ঘন সন্নিবেশে, এবং সেই ডাক্তারটার গল্প
9) আর কি বাকি রইল বল তো বলার, আসলে রাতের খাওয়া খেতাম যেখানে, সিনেমাতলা ছড়িয়ে, ভুলে গেছি, ফিরতি পথ
10) শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস, কোনদিকে যাবে, মলুটি বা কোলকাতা, আচ্ছা রানওয়ে তো ফাঁকাই পড়ে থাকে, যাও উড়ে ...

হ্যাঁ, এইভাবে রং এ চুবিয়ে পাল্টে দাও দিন, ক্যালেন্ডারে রং বদলের কি দরকার বানিয়ে নাও তারিখ শরীর, এতক্ষণ যা লেখা হল তার কোন অর্থ হয়না, অনর্থক পরিশ্রম আপনাদের এবং টাইপিষ্টের, আসলে ঐ সেই ফুকো আছেন না, এখানেও পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে এসে দাড়িয়েছেন, কাজেই আপনার তারিখ আপনার আমার তারিখ আমার, ধুস, আমাদের...

লাল না, নীল না
এটা না, ওটা না
এদিকে না, ওদিকে না
কি চাই, চাইনা


প্রসঙ্গ 1
----
সেপাক টাকরো৷ সিঙ্গাপুর৷ ওখানেও একটা লেকচার দিয়ে দিতে পারো, বডি আর্ট ভিডিও আর্ট, আরে তোর দুটো ছেঁড়া পাতা ঘুড়ি গোত্ খেয়ে নেমে এল, কোন চেন্নাই বন্দরে, তুই কি বই খুঁজিস, রবিবার সকাল হলে এইভাবে খড়কুটো বই দরিয়াগ জুড়ে, এই শীত তবু দেখ ঘাম ঝরছে চুলের ভিতর


প্রসঙ্গ 2
----
জল আছে, গ্লাস আছে, শূণ্য - পূর্ণ তর্ক আছে, শিবাজীনগর ষ্টেশন পর্যন্ত যাও, নেশার খোরাক, সিম্বির পিছনে, আহুন্দ গাড়োয়াল ঢাল, অটো কি পিছন দিকে নেমে আসবে? অটো এগিয়ে গেল তোমার থলে থেকে গড়িয়ে যাচ্ছে কমলালেবুগুলো,
গড়িয়ে গেল গড়িয়ে গেল, সেখানেও বঙ্কিমচন্দ্র, গড়িয়ে গেল গড়িয়ে গেল



প্রসঙ্গ 3
----
এই যে ছইপাশ লেখা, খালাসিটোলার সরু সরু বেঞ্চ, মধ্যমণি কমলকুমার, মধ্যরাত্রি যাপনের সক্রেটিস, এইসব এলোমেলো
এলোমেলো, এলোচুল এলোমেলো, এল ভূল এলোমেলো, যেমন ছবিতে কিশোরী মানায় ভাল, সস্তা সম্বল নয়, ঢের কাঠ-খড়,
শব্দ বর্ণ বর্ণমালা, ক্ষয় ক্ষয় ক্ষয়, যেমন তোমার ঐ তারিখের চিঠি


প্রসঙ্গান্তর
----
হাওয়া ও হাওয়া, নাসিকারন্ধ জুড়ে, আকাশ গোলাপী হল, মা এল চূড়ে, দমদম দমদম, দূর সে নগর, এসো থামি এইখানে

No comments: