Sunday, June 18, 2006

তাই নাকি ? তাই হোক


মাঝে মাঝে তব হাততালি পাই৷ অনন্ত বিরাম মাঝে তব অশ্রুধারা গড়ায়ে পড়ুক এ ধরার মাঝে, ভরা সাঁঝে, নাহি খেদ তাহে৷ অনন্ত পুর্ণিমার চাঁদ কেবল জেলুসিল বলিয়া ভ্রম হয়, অনন্ত কুয়ার জলে, অম্বলে রোষানলে এক চাঁদ পড়ে আছে৷ তাই যদি তাই হয় তাই তবে কী? লাকি হোটেলের ঘিলু ফ্রাই খাইয়া কাদাচ মিঠুন চষন²বর্তী হইবার অভিলাসে ডেকান হইতে হাঁটিতে হাঁটিতে মন্ডাই চলিয়া যাও, তার বেলা? ইরানী রোস্তারার বিস্কিট গ্যাঁড়াইয়া ভোর বেলা তোমার চাঁদটি যখন মিশিয়া যাইতে থাকে, রাতের সব তারাই থাকে দিনের আলোর গভীরে, বাক্যে ক্রিয়া পদটির মত৷ আইস গরুর চোনার যায়াগায় আমরা আলতা মিশাইয়া দি, বড় বড় গামলায় দুধ জ্বাল দিচ্ছিলি , বেশ তো , এর পর নে উল রং করে৷ আমরা শৃগালকে স্বয়ং ঈশ্বর বলিয়া মানিব না, ইনক্লাব, তবু প্রতিটি গল্পে চাই সে ঝাঁপায়ে পড়ুক নীলবর্ণ অনন্ত কুয়োর জলে, যেন এক চাঁদ পড়ে আছে, ধরিবার তরে৷

আছে , থাকুক, প্রতিটি লোম, ছিঁড়িও না, যারে লোম দাও তারে দাও ছিড়িঁবার শকতি৷ গ্লাভসে গ্লাভসে লাগিতে লাগিতে চার হইয়া যায়, কলিকাতা চলিয়াছে নড়িতে নড়িতে৷ পেখম নাড়াইতেছেন বিপস, কেবিসি চক্রে, ঘিরিল অভিমুন্য যথা , ধরা যাক দু"একটা ইঁদুর এবার৷ মৃতপ্রায় নীলগাই, আঁকাবাঁকা ডালপালা , যেন বাসরুট, ছিঁড়ে যাওয়া গীটারের তার, চিরুনী থেকে খুলে নেওয়া চুলগুলি, থুতু সম্বলিত, তাদের ঘুরিয়া ঘুরিয়া নীচে পড়া, জয় বাবা মণি কাউল , তোমার পার্সপেক্টিভ রচনা, তোমার কত্থক নাচ ও চশমার কাঁচ, পারলে ছিঁড়ে নিও আমার হদৃয়, তবু আমরা কিম্বদন্তী স্বীকার করিব না, ইনক্লাব, তবু প্রতিটি ক্ষেত্রে চাই ক্ষেত্রগুলি থাকুক বর্গা চাষিদের দখলে, যেন বিল বই, চাঁদা আছে পুজার তহবিলে...

29৷01৷06৷




মলে দি বইখান
--------
চিষনবত্ ধুলিকণা, ও মহম্মদ কিব্রিয়া সাহেবের ক্যানভাসসমূহ ক্রমশ প্যান্ডেলে ও পেন্টুলুনে ছাপিয়া যাইতে থাকে৷ সুশীল মল্লিক গেয়ে ওঠেন, প্রতিভাত হয় নীলকন্ঠফুল, ত্রিভঙ্গমুরারী এক ময়ূরের জন্ম হয়, মনোরম, মনোরম কোন প্রচ্ছেদে আটকায় চোখ, হাতে নিতে ইচ্ছে হয় না, অন্য সময় যেমনটা হয়, চেনা লাগে প্রচ্ছদশিল্পীর নাম, এমনটা তো, নয়, চেনা অক্ষরবিণ্যাস এ প্রতিবার প্রথম দেখা সমুদ্রের মত তার ভেসে ওঠা নয়, মরচের মত প্রিয় হিরণদা, সোমনাথ ঘোষ বা কৃষ্ঞেন্দুর হাত-টান নেই, কম্পু তে দিশেহারা সৌন্দর্যের জন্ম হয়ে ঐশ্বর্যের বিজ্ঞাপনী ঝলকে টাইটেনিয়াম হোয়াইট৷কতক্ষণ সাদা থাকবে আমার চোখ, কেউ নেই কিছু নেই ধু ধু শূণ্যতা... শূণ্য এক সমুদ্র সৈকতে বসেছে বইমেলা, বিকিনি তরুনীরা বেওয়াচ মত্সগন্ধা হয়ে ভেলায় ভেলায় বেহুলা, মগ্ন সত্যবানে, মৃত পড়ে থাকা বইপষেন, ভেলাটি ডুবিয়া ডুবিয়া যায়, বেলাটি বহিয়া বহিয়া যায়...

খোঁপায় আমের মুকুল নিয়ে কলেজ তরুনীরা ছুটিয়া যায় সইটি লিখিবার তরে, সুনীল গাংগুলীর মত জামা পরে কোন এক জলহস্তী ভাসিয়া ওঠে শ্যাওলা ও কুচি কুচি কচুরীপানা বিন্দুগুলি সরাইয়া,নির্গন্ধা ইব কিংশুকা চিংড়ি শকুন ভক্ষণে অবিরত যেন পাতাল রেল প্রকল্প ক্রমশ বাড়ছে, অ্যামিবারও বিহ্বলতায় নিজেরে অপমান...

03৷02৷06৷


আতাকেলানের সহজপাঠ
-----------

দিন যায় দিন আসে, প্রশ্নবাণে অন্ধকার, বই ও মন তুই শুঁয়াপোকা হ সোনা, আমার সজনে গাছভর্তি এখন সব অলীক ফুলমালা, দূরে দেখি কবিবন্ধু স্যাট করে অমৃতের খালি বোতলে ভোডকা স্যাট করে লুকিয়ে ফেল্লেন, চিরবিট্রেবাণ গলার ভেতর, যেখানে কাঁপা কাঁপা ওঠানামা নেই, নো সঙ্কোচন লো প্রসাশন, কি জিনিস বানিয়েছিস গুরু, মৃতদের উদ্দেশ্যে দার্জিলিং পাহাড়ে ঝুলতে থাকা বস্ত্রখন্ডগুলি কিরণমালারা আঁচল লুটায়ে হাঁটে,সমস্ত ট্রাকিয়া বরাবর হেটে যায় পরীরা, শব্দপরী, সে কি ফিরবে না, সে কি ফিরবে না , ফিরবে না আর কোনদিন...



এর সাথে বই-এর কোন কথা নেই৷


এক গাধা ছিল৷ দুই কাঁধে ঝোলা বস্তা৷ ঝোলা ঝোলা কান৷ নো প্রশ্নবান৷ সে পাহাড়ে পাহাড়ে ঝোলায় করে বাইবেল নিয়ে যেত, প্রচারের উদ্দেশ্যে৷ তাই কষ্টিং কমানোর জন্যে গাধার পিঠ সম্বল৷একটু আধটু টার্গেট মিস হলে ক্ষতি কি? উদ্দেশ্যে যখন প্রচারের! এ গাধা এমনই গাধা গাদা বই নিয়ে বেরোত বটে একটু ঘাস-টাস খেয়ে সন্ধ্যায় ঠিক ঘরে৷ কাজেই ঘরের গাধা ঘরে তো বটেই ঘরের বাইবেল ঘরে৷গাধাদের দিয়ে কোন কাজ হয়? কেন হবে না৷ এবার বুদ্ধিকরে গাধার গায়ে লিখে দেওয়া হল অক্ষরমালা, জাষ্ট ফর এক্সপিরিমেন্টস সেক৷ গাধা ভাবল আজ, গুরু লোড কম, একটু দূরের ঘাস খাওয়া যেতে পারে৷ চালাও পানসি৷গাধার গায়ে যে অক্ষর মালা দেখে সেই ব্যোমকে যায়৷ ও হরি ! এ কি কেস? কেউ ব্রেইলের মত বুলায়৷ গাধার বুদ্ধি দেখে সকলে আর হে-সে বাঁচেনা, তার চাইতে আয় সব এটাকে অন্য আর্ট বলি৷ আরে কোথায় মিউজিয়াম, মমার্ত, বইমেলা?

05৷02৷2006

সুমেরু
কলকাতা বইমেলা

No comments: