Saturday, June 17, 2006

শীত এল ঘুমিয়ে পড়

চট করে ঠান্ডা হয়ে যায় তালু চারটি, হাত ও পায়ের৷মোজা টেনে টেনে বের করি, কতগুলো আছে৷ ছেঁড়া ও ফাটা? পা ফাটতে শুরু করেছে৷ টি ভিতে বিজ্ঞাপন : রাণী, রাণী আর রাণী৷

জু-এর সামনে লম্বা লাইন৷ ভেতরে না জানি কত হই-চই৷

বাগেশ্রী ও রসিদ খান৷

লাল কম্বল৷

বাড়ি গেলাম একরাতের জন্য, অন্তত ফেরার ট্রেনপথে ছেলে যেমন ভাবতে থাকে, ফিরে গিয়ে কি কি দেখবে, পাল্টে গেছে, নতুন হয়েছে এব... ংও মা কোথায় পিঠে ?

আমার এই গঙ্গা নদীটা ইচ্ছে করলে পকটে করে নিয়েই বেড়ান যায়, শুকিয়ে গুটিয়ে এট্টুস৷

পুলওভার পরতে বেশ লাগে, জামা একটু ময়লা হলেও বোঝা যায় না৷

গঙ্গার ঠিক মাঝে আবার ভেসে উঠেছে ছেলেবেলা একটা গোটা চর হয়ে৷ ইঁট ভাটির সাঁকোটি নেই সেখানে৷
দ্রুত লাঙ্গল চালিয়ে উপড়ে ফেলা হচ্ছে ধানের নাড়া গুলি৷ যেখানে সময় থমকে আছে সেখানে মাকড়সা জাল বুনে চলে৷ ভোরের শিশিরে সেখানে সব তাজমহল৷

টুসুর চালে লাউ ধরেছে ক্যাসেটটা খুঁজে পেলাম না, বেশীর ভাগ ক্যাসেটই ঘোরে না৷ তবে খুঁজে পেলে ভালো লাগত, না পেলে ঠান্ডা৷ পুরুলিয়া বাসষ্ট্যান্ডের পেছনে মাইতি রেকর্ডস৷ ঝাড়গ্রাম লেবেল ষন²স করে সাগর, বিজয় মাহাতোর বাড়ি যাওয়ার পাথে৷ ওরঙ্গাবাদ থেকে টানা গাড়িতে বেলডাঙ্গা, ও৷ও খুঁজতে, সে সময়টা জুড়ে আবিস্কৃত হচ্ছেন সলাবত্ মাহাত, সিরাজ বয়াতি এব ংমালবাজারে তার দরবেশী গান শুনব বন্ধে আটকে পড়া ট্রেনে, বাহ বাহ...

চালকুমড়ো বাটা চলছে, শীতের দুপুরে মহিলা মহল চলছে ছাদে, ষন²মশ বড়িগুলি জাভেদ মিঁয়াদাদ ও চেতন শর্মার মত চিরস্নরনীয় হয়ে থাকবে৷ ইউ কে মজলিশে ডিমভর্তি ট্যাংরা মাছের সাথে আবার দেখা পাব তাদের৷

গাজরের হালুয়া চুরি করে খেতে গিয়ে পুড়ে ফেলবে জীভ, বোকা ছেলে জানে না, সবটাই তার, পুড়ুক৷ মাঝে মাঝে কফি খেতে গিয়েও তো এই ভাবে পুড়ে যায় জীভ তার৷

ছোট্ট- ছোট্ট চিরকুটে কয়েকটা বই-এর নাম লিখে অপেক্ষা করবে বইমেলা, মেলায় যাওয়ার সময় সেটা খুঁজে পাওয়া যাবে না কক্ষনও৷ চাট্টি হাবি-জাবি বই কিনে বাড়ির উঁইগুলিকে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে বাঁচিয়ে রাখার৷

প্রচন্ড চিত্কারের মধ্যে মুখ গুঁজে বসে রাত্তির দেড়টা-দুটোয় স্যুপ বা থুকপা রান্না করতে বসবে৷ শূণ্য শূণ্য সার সার বোতলগুলি এক এক করে সাজিয়ে রাখবে রান্নাঘরে উপরের তাকগুলিতে৷ রাষিন আরও বাড়লে নি:সঙ্গতায় নিজেকে সালার জ ংমনে করব৷

নলেনগুড়ের গরম রসগোল্লা খেয়ে বোঝার চেষ্টা করব হাওড়া ও চন্দননগরের তফাত্৷

লেপের ভেতর চলবে যুদ্ধ- যুদ্ধ খেলা৷ এমন কী যুদ্ধের আগে সেতু বন্ধনও৷ লুকিয়ে লেখালেখি ও বইপড়া৷ যেদিন ধরা পড়বে ডায়রি একলাটি ছাদে লুকিয়ে থেকো৷ রোźউরে পাতা নড়া ছায়া দেখো আরো লিখে ফেল দু/একটা পাতা ৷

পড়া কামাই করে মিশে যাই ধু ধু কুয়াশায়৷ রাম তিতো হয় জেনে সন্দেশ কিনে নি সাথে৷ সাথে বন্ধু- ও- বান্ধব৷ মহাপ্রস্থানের পথ৷ নতুন যে বাড়িগুলি তৈরি হচ্ছে উঠে যাও তাদের ছাদে৷ ফেলে এসো প্রিয় মাফলারখানি৷

No comments: