Saturday, June 17, 2006

পরান জলালি দিয়া রে

নর্দমা, বয়ে যাওয়া দুধ, আমরা কদম কদম বাড়িয়ে ঢুকে গেলাম সুর্যের মধ্যে, বিগলিত লাভা-সমূহ , কিন্তু অদ্ভূত,নারিকেলটির মত ঝরে না কাঁকড়ার আষন²মণে,কমলা লেবুর খোসা নিংড়ে চোখ দুটি রাখো তাতে, প্রপেলারে জড়িয়ে যাচ্ছেন পুলক বন্দ্যপাধ্যায়, কালো দিঘির কুচলা জলে ডুবলো সনাতন, রাস্তার ওপাশে কেয়া গাছের ঠেঁস দেওয়া ঝোপ, কাঠের পাটাতনে অদ্ভূত বিনম্রতায় কাপড় কাচ্ছে কাব্যে উপেক্ষিত রজকিনীর দল, গাধারা চরাচরে, এমনই বিস্তৃত হয় মরুভূমি ,হদৃয় ঢেকে যায়, কুয়াশা মোড়া রাতের ট্রাফিকে,ব্লেড দিয়ে সরু সরু করে চিরে দিচ্ছ আমার কপাল, সাঙ্গীতিক মূর্চ্ছনায় কেঁপে উঠছে তটরেখা, হাতের তালুর রেখাগুলি ও হিন্দী সিনেমার মরুভূমি, এভাবেই কিছু সভ্যতা তলিয়ে যায় সমুদ্রগর্ভে যেন...

ভাঙ্গা কাঁচের শব্দ, ধমনী দিয়ে বয়ে যাওয়া মেট্রো রেল, আমার কঙ্কালই এখন ইচ্ছে গাছ, হলুদ সুতোয় ঝুলিয়ে দও ইচ্ছা-আশাগুলি, তামাক পাতার থেকে পবিষন এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই, পোড়ো পোড়ো,সূর্যের ভিতর বসে থাকো তীর্থক্ষেষেনর মত, এলোমেলো গাধারা দৌড় লাগাবে এই প্রাণহীন প্রান্তরে, আমি এই ভাবেই শুয়ে আছি যেমন আকাশ ও এক্লেয়ার্স, মোহবদ্ধ অযুত-নিযুত পরিমাপ, এই ভাবে বেড়ে ওঠা টুকরো টুকরো শাখা ও প্রশাখা ও দাঁতনগুলি, দাঁতেরা তৈরী হয় দংশনের তরে, তাড়কা প্রবল বেগে উঠছেন হেঁসে, জুয়ার বোর্ডে, ছক-গুটি-পাশা, চিহ্নকরণের উপাদানমাষন এই যে করুনা সিন্ধু, ওগো মায়া ওগো বাতায়ন...

চমত্কার৷ নিউক্লিওলাস থেকে গভীরতর স্নেহে এসে যাও, তুমি ব্যকরণমালা, পান্ডব জননী,সারা গোরস্থান জুড়ে সব নাম না জানা বিদেশী ফুল, কেটলি মুখে নির্গলিত বাস্প, মাইলস্টোন, মাইলস্টোন,সুর্যের বাইরে এই ভাবে দাগ কাটে ছেলেরা, ইয়ু ংকি বলতেন জানি না, রবিবার সকালে ওজনে তুলে দও যত বাসী কাগজ,দূর করে দাও যত মায়া আশা ক্ষেদ, সূচীশিল্পীরা খাদ্যবস্তুর নীচের টেবিলে দাগ কাটেন সূতির চাদরে, প্রবল নেশায় সুর্য এখন ঘড়ি, চোখ ও মুখ ঝলসে যাবে তবু লেবু ফুলের গন্ধটি তুমি পাবে না, এস তার চাইতে শুয়ে থাকি এই ঘাসগুলির নীচে, বত্সরে যুক্ত হোক নক্ষষন ও বত্সরপু, মাটির তলে বুঝি এখন ও জলের প্রবাহ কলকল, ভাব না, মিনারেল ওয়াটারের কোনো কারখানা খোলা
যায় কিনা...

No comments: