Saturday, June 17, 2006

শব্দের কুচকাওয়াজ ও বিদায় জোতিষ্ক, হুংকার, রণডঙ্কা

... এইমাত্র খবর পাওয়া গেল৷ এই মাষন তো নয়৷ অন্তত ভোরবেলায়, দিনের শুরু, স্বাভাবিক হয়ে ওঠাটাই নিয়ম যখন,কানে আসে, কানে আসে জঙ্গলের গাছ জানালা বরাবর ছুটে যাচ্ছে পেছনদিকে, মৃত্যুফাঁস, অবজ্ঞা, পেছনদিকে পেছনদিকে, মানুষ কেবল হেঁটে যায় মিনিবাসে, তুমি আছ বা নেই, আছ বা নেই, সূর্য গাছ পথ ঘড়ি নিহিতার্থের উপমা পেরিয়ে যাও, পেরিয়ে যাও...

এইভাবে উপযাচক হয়ে তার মৃত্যুর কথা লিপিবদ্ধ করার কোন অধিকার আমার ছিলনা যদিনা সেই উত্তরের দিনগুলোতে তার ঘনঘন মৃত্যুপূর্ববর্তি রুমাল নাড়া আমাকে খাঁচার জ্যামিতিতে উত্সুক করে তোলে৷ সে তো অক্ষরমাষন, অন্যকিছু নয়৷ যবনিকা নেমে আসে, নেমে আসে চুল, সহজাত৷ কারুকর্মের রণহুঙ্কার আমরা সন্তর্পণে লক্ষ্য করতে শুরু করছি তখন৷ রাজমোহন বেশিক্ষণ নিদ্রিত থাকবেননা, কুকুরদের সম্পর্কেও দু/একটা কথা জানা হয়ে যাবে অগোচরে, রুবির সঙ্গে যে দু/একবার ডায়মন্ড হারবারে লুকিয়ে চুরিয়েও যাবনা একথা স্বীকার করার মত কোন মন্ত্রী আসেননি তখনো বিধানসভায়৷ পার্লামেন্টেরিয়ান বলতে তখন হীরেনবাবু, লেখক বলতে কর্পোরেশনে চাকরি করা অথবা বর্গক্ষেষেনর চারভাগের একভাগ, হ্যা ঁতোমরা যারা কলকাতা কিংবা রাত-প্যাঁচার মত ভালবাসায় অভিযোচিত করনি৷ রাষিন দ্বিপ্রহরে যখন কমলকুমার হয়ে উঠছেন ল্যাম্পপোস্ট, মানিকবাবু বারোদুয়ারীর অপর একটি জানালা, তুমি থেকে যাও সঙ্গোপনে, আমরা কেবল চাবুকের শব্দ শুনি সেই চলচ্চিত্রটির সাউন্ডট্র্যাকে৷

... আচ্ছা, বলে রাখা ভাল, আমি যে চে গুয়েভারার মার্কা সাঁটা লাল গে পিরে কারোর স্বপক্ষে হাত তুলছি না,নেহাত, হাত যদি তুলি সে, অমরত্বের প্রার্থনা, করমর্দনের জন্য৷ কনফেশনে এরকম হ্যাঁ,হ্যাঁ থাকে, তাই আরো একবার হ্যাঁ বলি, একবার, দুবার, চারবার ,যথাচার, যতবার খুশি, হ্যাঁ আমি শ্রী সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুপরবর্তী জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করছি৷ আসলে এখন আর নতুন করে অসুখ বাড়িয়ে নেওয়ার কোন সময় নেই, ক্লোরোফিলের ছষনছায়ায় ও অন্টিবায়োটিকের বাকচাতুর্যে মুগ্ধ থাকুন আপনারা৷ মাসান্তে সার্কাসের তাবু উঠিয়ে নিয়ে যান এই শীতশহর থেকে, দু/চারটে ঘাস সাদা হয়ে থাকুক অন্তরালে, আপনারা চলে গেছেন এ শহর ছেড়ে৷ নোঙর, পর্ব উত্পন্নকারী হাঙর ও জলাশয়, জরাগ্রস্থ স্টিফেন স্পিলবার্গ, মিনিবুক, হিরোশিমা মাই লাভ সব যাক ছেড়ে, জলের গভীরে...

... ইউক্লীডের চতুস্পার্শ, চতুরঙ্গজ কুমার সাহানী যেন বিবৃতি দেবেন বাসের টিকিটের পেছনে, রমাপদ চৌধুরী আধঘন্টায় লিখে ফেলুন "না" শব্দটি, তো? শুরু হচ্ছে পরবর্তী নাটক এখন, দেবেশবাবু কর্ণার কিক থেকে গোল খেলে, সে বড় সুখের সময় নয়৷ দিনরাষিন, দিনরাষিন, জঙ্গল বা কলকাতার, অলিন্দ বা নিলয়ের, তোমার ও আমার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী, মৃত্যুয় থেমে যেওনা বিশেষণে, তার চাইতে এসো আমরা কলম বদল করি৷

... দুপুরবেলা৷ উড়ে যাচ্ছে ধবল বক, ছাদের কার্নিশে, রঙিন অন্তর্বাসগুচ্ছ, জল ছুঁচ্ছ মাছরাঙা , হাঁতুড়ি দিয়ে ভাঙ্গা হচ্ছে কয়লা যেন রোপওয়ের স্নিগ্ধতা খনির অন্তরালে, আমিও দু/একটা শব্দ লেখার আগে এলোমেলো করে দিতে চাই নিজেকে আরো, যেন বিবিধভারতী৷ দুপুরবেলা ধবল বক দুলে ওঠা অন্তর্বাসগুচ্ছ তোমরা কি শব্দ হয়ে যাবে? নাকি প্রতিস্থাপিত হবে এই শহরের বুকে৷ এঁকেবেঁকে পাহাড়ী মল ডালহৌসির দর্পচেয়ারে কুন্দেরা গল্প জুড়েছেন ইশ্বরের সাথে, আমার নখর তোমার শব্দের বঞ্চনায় ধারাল হয়ে উঠছে ষন²মশ, ষন²মে আলো আসিতেছে, আসিতেছে ... হ্যা... ঁএর পরেই আমার ইচ্ছে করবে আমি ও বনবিহারী কিংবা বন ও মনবিহারী বা জঙ্গলের দিনরাষিন অথবা কলকাতার দিনরাষিন থেকে উদ্ধৃত করার সুতরা, ংবহরমপুর থেকে ফিরছি, দীর্ঘ রাস্তা যেমন ছেলেবেলা থেকেই শুরু হয়, গাড়ি যেমন ব্রেক কষে, কেউ রাস্তা পার হয়, কখন যে বর্ণমালা ছুটে গেল সোনালী বর্ণ শৃগাল হয়ে, তার প্রতিটি লোমই যেন ইশ্বরপ্রদত্ত বা নিষিদ্ধ বিন্যাসে নিহিত, এ আমাদের খবরের কাগজগুলি, হ্যা ঁএকটা কাজ করি, আসুন পুড়িয়ে মারি
আপনাদের, শব্দরাজীসমূহ, হ্যাঁ দেবেশবাবু, যুধিষ্টিরকে পাঁচটা গ্রাম দিয়ে দিলে আর কুরুক্ষেষেনর যুদ্ধ বলে, আর কিছু থাকতনা...
পাঠককে প্রণাম৷

No comments: